জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণকাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এক ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে জানান, দাবি পূরণ না হলে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, “আমাদের তিনটি স্পষ্ট দাবি ছিল, কিন্তু প্রশাসন এখনো কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তাই আমরা আমাদের অনশন চালিয়ে যাচ্ছি।”
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী একে এম রাকিব বলেন, “আমরা আজ ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যদি মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, সেনা কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একসঙ্গে বসার ঘোষণা না আসে, তাহলে সচিবালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা করব।”
সোমবার সকাল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ এবং আর্টস ফ্যাকাল্টি ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনের সামনে বসে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক কাজী আহাদ জানান, “গতকাল আমরণ অনশনের প্রথম দিনেই ১৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আজ পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যত দিন পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা না হবে, আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করতে হবে এবং তা শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে উপস্থাপন করতে হবে।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে।
৩. যত দিন আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হয়, তত দিন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনের সময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তাঁদের দাবিগুলো অবিলম্বে মেনে নেওয়া না হলে, তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন।