গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে যশোরে সাতটি স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি, শহরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শেখ হাসিনার নামফলকও গুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে হাতুড়ি, শাবল নিয়ে ভাস্কর্য ও নামফলক ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিভিন্ন মোড়ে জড়ো হতে শুরু করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রথমে যশোর পৌরসভার ভেতরে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এরপর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ম্যুরাল, বকুলতলার ভাস্কর্য, জেলা পরিষদের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার নামফলক, মনিহার বিজয় স্তম্ভের প্রাচীরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দৃশ্যপট খোদাই করা ভাস্কর্য ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এরপর সদর উপজেলা পরিষদের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর আরেকটি ভাস্কর্যও গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া অভয়নগর, ঝিকরগাছা, কেশবপুরেও উপজেলা পরিষদের ভাস্কর্য ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, “কয়েকটি স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে কারা এসব করেছে, তা এখনো জানা যায়নি।”
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ছয় মাস পূর্তির দিনে শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের ঘোষণার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।