দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ চার দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে গণঅনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক, শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ ও আর্টস ফ্যাকাল্টিসহ একাধিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে জবি শিক্ষক সমিতি কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এর ফলে ক্লাস ও পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, চলমান অনশনে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্তত ১১ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করতে হবে।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে একাত্মতা জানিয়ে রোববার গভীর রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম নিজেই অনশনস্থলে বসেন। শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘দাবিগুলো যৌক্তিক। প্রশাসন এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে।’
তবে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন। দাবি পূরণ না হলে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রার হুমকি দিয়েছেন তারা।
শিক্ষক সমিতি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে জানিয়েছে, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ক্লাস হতে দেবেন না।