ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কোভিড ১৯ সংক্রমণ হারের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকল্কে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় স্বাধীনতার এক মহানায়ক, ডক্টর পিনাকী ভট্টাচার্য কুষ্টিয়ায় আবারও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, পুলিশের নীরবতায় আতঙ্কে এলাকাবাসী আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও ছবি নিরাপদ রাখতে এই ৬টি টিপস মেনে চলছেন? মহেশপুর সীমান্তে ১ ভারতীয় মানব পাচারকারী আটক, ২ নারী ও ১ শিশু উদ্ধার মহেশপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু বাস দুর্ঘটনায় মহেশপুরে আহত ৫ মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত বিএনপির সুযোগ, সম্ভাবনা ও নেতৃত্বের ব্যর্থতা সিলেট-চট্টগ্রামে কেএফসি-বাটা-পিৎজা হাটে হামলা ও লুটপাট: বিনিয়োগ সম্মেলনের মাঝেই উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা
শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের দিকনির্দেশক

দ্বিতীয় স্বাধীনতার এক মহানায়ক, ডক্টর পিনাকী ভট্টাচার্য

স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যখন বাংলাদেশ আবারও শেখ হাসিনার অধীনে একদলীয় স্বৈরশাসনের ছায়ায় নিমজ্জিত ছিল, তখন তিনিই প্রথম উচ্চারণ করেন “দ্বিতীয় স্বাধীনতার” প্রয়োজনীয়তা। স্পষ্টভাষী, তথ্যনির্ভর এবং সাহসী বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখেও প্রতিরোধের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। শেখ হাসিনার অধীনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন ভয়ের সংস্কৃতি,  বাকস্বাধীনতার সংকোচন এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন নৈমিত্তিক বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন পিনাকী ভট্টাচার্য সেই বিরল কণ্ঠস্বর, যিনি প্রতিবাদের ভাষা দিয়েছেন লক্ষ মানুষের মুখে। তিনি কেবল একজন চিকিৎসক, লেখক, গবেষক কিংবা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নন—তিনি সময়ের সাহসী চিন্তাবিদ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রবক্তা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক অগ্রদূত।

তার নেতৃত্বে গঠিত ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা ফোরাম’ শুধু একটি আন্দোলনের সংগঠন নয়, বরং সেটি হয়ে উঠেছে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাঁর বক্তব্য, লেখনী এবং ডিজিটাল ভিডিওগুলো মানুষকে কেবল জাগিয়ে তোলেনি—নানা স্তরের চিন্তাশীল মানুষকে গভীরভাবে প্রশ্ন করতে বাধ্য করেছে: আমরা কি সত্যিই স্বাধীন? ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ, পাসপোর্ট বাতিল, পরিবারকে টার্গেট করা—এসব নিষ্ঠুর দমননীতির মাঝেও পিনাকী কখনো পিছু হটেননি; বরং ক্রমাগত আরও তীব্র হয়েছেন।

জাতীয় রাজনীতি থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ—জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, আন্তর্জাতিক মিডিয়া হাউজ—সর্বত্রই তাঁর বিশ্লেষণ ও বার্তা আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। আজ তিনি শুধু সরকারের সমালোচক নন, বরং এক গণজাগরণের দূত, এক নির্ভীক প্রতিরোধের মুখ। তাঁর নাম আজ তরুণদের মাঝে মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, প্রবাসী সমাজের মধ্যে সত্যের প্রতিধ্বনি এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকবদলের সূচক। পিনাকী ভট্টাচার্য—এখন আর কেবল একজন মানুষ নন, তিনি হয়ে উঠেছেন একটি আন্দোলনের নাম, একটি চেতনার ব্যঞ্জনা, একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন।

২০২৫ সালের জুলাই মাসে পিনাকী ভট্টাচার্য দেশের ছাত্র সমাজ এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে একসাথে মিলিত হয়ে স্বৈরতান্ত্রিক শাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার ধারাবাহিক দিকনির্দেশনা ও পথপ্রদর্শন প্রদান করেন। তিনি গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং নিরলসভাবে আন্দোলনের নীতিমালা, কৌশল ও দায়িত্ব ভাগাভাগি সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করেন। তাঁর অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য ও দৃঢ় নেতৃত্বে দেশের তরুণ প্রজন্ম ও সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক জঙ্গলে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জোরদার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। পিনাকী ভট্টাচার্যের এই অবিচলিত নির্দেশনা অনেককে হতাশা থেকে উত্তোলন করে একত্রিত করার শক্তি যুগিয়েছে, যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জনপ্রতিছ্রতি আছে যে পিনাকী ভট্টাচার্য ন হলে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেতাম না।

ডক্টর পিনাকী ভট্টাচার্য এর নিম্নোক্ত কালজয়ী ইউটিউব ভিডিওগুলো ধাপে-ধাপে জাতিকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছে।

  1. 📅 সেপ্টেম্বর ২০২১ – “আমি নির্বাসনে নয়, সংগ্রামে আছি”

স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়ে অনেকে সমালোচনা করলে পিনাকী বলেন, “আমি পালিয়ে যাইনি। আমি জায়গা বদলেছি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে। এই লড়াই দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বমঞ্চেও হবে।”

  1. 📅 অক্টোবর ২০২১ – “প্রবাসীরা আর নিরব নয়, আমরাও দেশের সৈনিক”

বিদেশে বসেও কীভাবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় প্রবাসীরা ভূমিকা রাখতে পারে—তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ভাষা আন্দোলনে যেমন প্রবাসী বাঙালিরা ভূমিকা রেখেছিল, আজও তার পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন।”

  1. 📅 ডিসেম্বর ২০২১ -“এটা আমার নয়, এটা আমাদের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ

পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁর এই বক্তব্যে বর্তমান সময়কে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে শত্রু ছিল বাহিরে, আজ শত্রু ঘরের ভেতরে—যে সরকার জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতা দখল করে, সে-ই আধুনিক শত্রু।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘গণঅধিকারের’ সংগ্রামে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

  1. 📅 ফেব্রুয়ারি ২০২২ – “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানেই বাকস্বাধীনতার মৃত্যু পরোয়ানা

এই আইনের মাধ্যমে সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করছে—এই অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “এই আইন অপরাধের বিরুদ্ধে নয়, বরং সত্য বলাকে অপরাধ বানায়। এ আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না।”

  1. 📅 মার্চ ২০২২ – “ভয়কে পরাজিত করো, তাহলেই শুরু হবে স্বাধীনতা

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এই ভিডিও বার্তায় পিনাকী বলেন, “ভয় দেখিয়ে জনগণকে চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা, গ্রেফতার। কিন্তু যে দিন ভয় ভাঙবে, সেদিনই স্বৈরতন্ত্র কাঁপবে।”

  1. 📅 এপ্রিল ২০২২ – “বিচারহীনতা মানেই স্বৈরতন্ত্রের রক্ষাকবচ

তিনি বলেন, “যে দেশে বিচার হয় না, সে দেশে অপরাধের চর্চা হয়। রাজনৈতিক খুন, গুম, ধর্ষণ—সবকিছুর পেছনে বিচারহীনতার চক্র।” পিনাকী এই বক্তব্যে জনগণের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য গণআন্দোলনের ডাক দেন।

  1. 📅 জুন ২০২২ – “পদ্মা সেতু দিয়ে উন্নয়ন হয়, ন্যায়বিচার ছাড়া রাষ্ট্র চলে না

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময় পিনাকী বলেন, “উন্নয়ন দেখে চোখ ধাঁধানো যায়, কিন্তু বিচারহীনতা রাষ্ট্রকে পঙ্গু করে। ব্রিজ দিয়ে দেশ চলে না, ন্যায়বিচার দিয়ে চলে।”

  1. 📅 জুলাই ২০২২ – “আজ কথা না বললে কাল আর সুযোগ থাকবে না

এই সময়ে ডিজিটাল সন্ত্রাস ও হয়রানি ব্যাপক হারে বেড়েছিল। পিনাকী বলেন, “আজ যে চুপ থাকছো, কাল সে চুপ করানো হবে। এখনই আওয়াজ তোলা উচিত।”

  1. 📅 আগস্ট ২০২২ – “সংবিধান আজ বন্দিআমরা কি মুক্ত করবো না?”

সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলোকে কার্যত অকার্যকর করার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে পিনাকী বলেন, “যেখানে বাকস্বাধীনতা নেই, ভোট নেই, ন্যায়বিচার নেই—সেখানে সংবিধান কেবল একটা দলিল, কার্যত মৃত।”

  1. 📅 অক্টোবর ২০২২ – “রাজনীতি যদি মানুষের হয়, তাহলে ভয় কার জন্য?”

তিনি জনগণকে আহ্বান জানান—“ভয়ের রাজনীতি আর কতকাল চলবে? যারা জনগণের প্রতিনিধি, তারা কেন প্রশ্ন শুনতে ভয় পায়?”

  1. 📅 ডিসেম্বর ২০২২ – “ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই হবে

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পিনাকী বলেন, “যে সরকার একতরফাভাবে ক্ষমতায় আসে, সে সরকারের নৈতিকতা থাকে না। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা না গেলে বাংলাদেশ থাকবে রাজনৈতিক অচলাবস্থায়।”

  1. 📅 ডিসেম্বর ২০২২ – “আমরা ৫২৭১ ভুলিনি, হাসিনাকেও ভুলবো না

সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “যারা গণতন্ত্র কেড়ে নেয়, তারা শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।”

  1. 📅 জানুয়ারি ২০২৩ – “জামানতের ভয় দেখিয়ে জবাবদিহিতা চাপা যাবে না

এই সময় অনেক সাংবাদিক ও ব্লগারদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছিল। পিনাকী বলেন, “অপরাধ করলে বিচার চাই, কিন্তু সত্য বললে মামলা নয়। ভয়ের সংস্কৃতি ভাঙতে হবে।”

  1. 📅 মার্চ ২০২৩ – “আপন হাতেই বিপ্লবের আগুন জ্বালাও

২৬ মার্চ উপলক্ষে এই বার্তায় তিনি বলেন, “স্বাধীনতা কেউ উপহার দেয় না, সেটা ছিনিয়ে আনতে হয়। এইবার ঘরে বসে নয়—রাস্তায় নামলেই ইতিহাস পাল্টাবে।”

  1. 📅 মে ২০২৩ – “রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি এখন নিয়ম

তিনি প্রশাসন, সরকারি প্রকল্প এবং নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, “কোনো একটি প্রতিষ্ঠানেরও স্বাধীনতা নেই—সবাই দুর্নীতির চক্রে বাঁধা।”

  1. 📅 মে ২০২৩ – “স্বাধীনতা শুধু কবিতায় নয়, সংবিধানে আর বাস্তবতায় চাই

সরকারি ভাষণে ‘উন্নয়ন’ এবং ‘স্বাধীনতা’ শব্দের ব্যবহারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ভোটাধিকার ছাড়া, মতপ্রকাশের অধিকার ছাড়া—স্বাধীনতা একটি কাগজের কবিতা মাত্র।”

  1. 📅 জুলাই ২০২৩ – “দ্বিতীয় স্বাধীনতার পতাকা আজ পিনাকীর হাতে

সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর অনেকেই পিনাকীকে সমকালীন সময়ের ‘মুক্তির দূত’ বলে আখ্যা দেন। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রধান কণ্ঠস্বর হিসেবে তাঁকে দেখা হয়।

  1. 📅 নভেম্বর ২০২৩ – “জাগো বাংলাদেশ, সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে

নতুন নির্বাচন সামনে রেখে তিনি বলেন, “সময়ের ঘড়ি বাজছে। এখন না বললে আর কিছু বলার সুযোগ থাকবে না। এইবার জনগণকে বলতেই হবে—আমাদের স্বাধীনতা চাই, আমাদের ভোট চাই।”

  1. 📅 ডিসেম্বর ২০২৩ – “জেগে উঠো বাংলাদেশ, ইতিহাস তোমাকে ডাকছে

মুক্তিযুদ্ধের মাসে এই বার্তায় তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধের নাম নেয়, অথচ মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়, তারা ইতিহাসের প্রতারণাকারী। এই ইতিহাস রক্ষা করতে হলে আজই জেগে উঠতে হবে।”

  1. 📅 জানুয়ারি ২০২৪ – “ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনলেই স্বাধীনতা পূর্ণ হবে

নির্বাচনের বছর শুরুতে তিনি বলেন, “এইবারের নির্বাচন হবে গণতন্ত্র বনাম দখলদারিত্বের লড়াই। জনগণ ঠিক করবে তারা কতটুকু মুক্ত হতে চায়।”

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রভাতের পাতা ডেস্ক

প্রভাতের পাতা ডেস্ক

কোভিড ১৯ সংক্রমণ হারের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকল্কে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের দিকনির্দেশক

দ্বিতীয় স্বাধীনতার এক মহানায়ক, ডক্টর পিনাকী ভট্টাচার্য

আপডেট সময় ০১:১৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যখন বাংলাদেশ আবারও শেখ হাসিনার অধীনে একদলীয় স্বৈরশাসনের ছায়ায় নিমজ্জিত ছিল, তখন তিনিই প্রথম উচ্চারণ করেন “দ্বিতীয় স্বাধীনতার” প্রয়োজনীয়তা। স্পষ্টভাষী, তথ্যনির্ভর এবং সাহসী বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখেও প্রতিরোধের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। শেখ হাসিনার অধীনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখন ভয়ের সংস্কৃতি,  বাকস্বাধীনতার সংকোচন এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন নৈমিত্তিক বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন পিনাকী ভট্টাচার্য সেই বিরল কণ্ঠস্বর, যিনি প্রতিবাদের ভাষা দিয়েছেন লক্ষ মানুষের মুখে। তিনি কেবল একজন চিকিৎসক, লেখক, গবেষক কিংবা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নন—তিনি সময়ের সাহসী চিন্তাবিদ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রবক্তা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক অগ্রদূত।

তার নেতৃত্বে গঠিত ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা ফোরাম’ শুধু একটি আন্দোলনের সংগঠন নয়, বরং সেটি হয়ে উঠেছে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাঁর বক্তব্য, লেখনী এবং ডিজিটাল ভিডিওগুলো মানুষকে কেবল জাগিয়ে তোলেনি—নানা স্তরের চিন্তাশীল মানুষকে গভীরভাবে প্রশ্ন করতে বাধ্য করেছে: আমরা কি সত্যিই স্বাধীন? ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ, পাসপোর্ট বাতিল, পরিবারকে টার্গেট করা—এসব নিষ্ঠুর দমননীতির মাঝেও পিনাকী কখনো পিছু হটেননি; বরং ক্রমাগত আরও তীব্র হয়েছেন।

জাতীয় রাজনীতি থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ—জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, আন্তর্জাতিক মিডিয়া হাউজ—সর্বত্রই তাঁর বিশ্লেষণ ও বার্তা আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। আজ তিনি শুধু সরকারের সমালোচক নন, বরং এক গণজাগরণের দূত, এক নির্ভীক প্রতিরোধের মুখ। তাঁর নাম আজ তরুণদের মাঝে মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, প্রবাসী সমাজের মধ্যে সত্যের প্রতিধ্বনি এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকবদলের সূচক। পিনাকী ভট্টাচার্য—এখন আর কেবল একজন মানুষ নন, তিনি হয়ে উঠেছেন একটি আন্দোলনের নাম, একটি চেতনার ব্যঞ্জনা, একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন।

২০২৫ সালের জুলাই মাসে পিনাকী ভট্টাচার্য দেশের ছাত্র সমাজ এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে একসাথে মিলিত হয়ে স্বৈরতান্ত্রিক শাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার ধারাবাহিক দিকনির্দেশনা ও পথপ্রদর্শন প্রদান করেন। তিনি গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং নিরলসভাবে আন্দোলনের নীতিমালা, কৌশল ও দায়িত্ব ভাগাভাগি সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করেন। তাঁর অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য ও দৃঢ় নেতৃত্বে দেশের তরুণ প্রজন্ম ও সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক জঙ্গলে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জোরদার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। পিনাকী ভট্টাচার্যের এই অবিচলিত নির্দেশনা অনেককে হতাশা থেকে উত্তোলন করে একত্রিত করার শক্তি যুগিয়েছে, যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জনপ্রতিছ্রতি আছে যে পিনাকী ভট্টাচার্য ন হলে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেতাম না।

ডক্টর পিনাকী ভট্টাচার্য এর নিম্নোক্ত কালজয়ী ইউটিউব ভিডিওগুলো ধাপে-ধাপে জাতিকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছে।

  1. 📅 সেপ্টেম্বর ২০২১ – “আমি নির্বাসনে নয়, সংগ্রামে আছি”

স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়ে অনেকে সমালোচনা করলে পিনাকী বলেন, “আমি পালিয়ে যাইনি। আমি জায়গা বদলেছি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে। এই লড়াই দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বমঞ্চেও হবে।”

  1. 📅 অক্টোবর ২০২১ – “প্রবাসীরা আর নিরব নয়, আমরাও দেশের সৈনিক”

বিদেশে বসেও কীভাবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় প্রবাসীরা ভূমিকা রাখতে পারে—তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ভাষা আন্দোলনে যেমন প্রবাসী বাঙালিরা ভূমিকা রেখেছিল, আজও তার পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন।”

  1. 📅 ডিসেম্বর ২০২১ -“এটা আমার নয়, এটা আমাদের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ

পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁর এই বক্তব্যে বর্তমান সময়কে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে শত্রু ছিল বাহিরে, আজ শত্রু ঘরের ভেতরে—যে সরকার জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতা দখল করে, সে-ই আধুনিক শত্রু।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘গণঅধিকারের’ সংগ্রামে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

  1. 📅 ফেব্রুয়ারি ২০২২ – “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানেই বাকস্বাধীনতার মৃত্যু পরোয়ানা

এই আইনের মাধ্যমে সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করছে—এই অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “এই আইন অপরাধের বিরুদ্ধে নয়, বরং সত্য বলাকে অপরাধ বানায়। এ আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না।”

  1. 📅 মার্চ ২০২২ – “ভয়কে পরাজিত করো, তাহলেই শুরু হবে স্বাধীনতা

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এই ভিডিও বার্তায় পিনাকী বলেন, “ভয় দেখিয়ে জনগণকে চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা, গ্রেফতার। কিন্তু যে দিন ভয় ভাঙবে, সেদিনই স্বৈরতন্ত্র কাঁপবে।”

  1. 📅 এপ্রিল ২০২২ – “বিচারহীনতা মানেই স্বৈরতন্ত্রের রক্ষাকবচ

তিনি বলেন, “যে দেশে বিচার হয় না, সে দেশে অপরাধের চর্চা হয়। রাজনৈতিক খুন, গুম, ধর্ষণ—সবকিছুর পেছনে বিচারহীনতার চক্র।” পিনাকী এই বক্তব্যে জনগণের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য গণআন্দোলনের ডাক দেন।

  1. 📅 জুন ২০২২ – “পদ্মা সেতু দিয়ে উন্নয়ন হয়, ন্যায়বিচার ছাড়া রাষ্ট্র চলে না

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময় পিনাকী বলেন, “উন্নয়ন দেখে চোখ ধাঁধানো যায়, কিন্তু বিচারহীনতা রাষ্ট্রকে পঙ্গু করে। ব্রিজ দিয়ে দেশ চলে না, ন্যায়বিচার দিয়ে চলে।”

  1. 📅 জুলাই ২০২২ – “আজ কথা না বললে কাল আর সুযোগ থাকবে না

এই সময়ে ডিজিটাল সন্ত্রাস ও হয়রানি ব্যাপক হারে বেড়েছিল। পিনাকী বলেন, “আজ যে চুপ থাকছো, কাল সে চুপ করানো হবে। এখনই আওয়াজ তোলা উচিত।”

  1. 📅 আগস্ট ২০২২ – “সংবিধান আজ বন্দিআমরা কি মুক্ত করবো না?”

সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলোকে কার্যত অকার্যকর করার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে পিনাকী বলেন, “যেখানে বাকস্বাধীনতা নেই, ভোট নেই, ন্যায়বিচার নেই—সেখানে সংবিধান কেবল একটা দলিল, কার্যত মৃত।”

  1. 📅 অক্টোবর ২০২২ – “রাজনীতি যদি মানুষের হয়, তাহলে ভয় কার জন্য?”

তিনি জনগণকে আহ্বান জানান—“ভয়ের রাজনীতি আর কতকাল চলবে? যারা জনগণের প্রতিনিধি, তারা কেন প্রশ্ন শুনতে ভয় পায়?”

  1. 📅 ডিসেম্বর ২০২২ – “ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই হবে

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পিনাকী বলেন, “যে সরকার একতরফাভাবে ক্ষমতায় আসে, সে সরকারের নৈতিকতা থাকে না। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা না গেলে বাংলাদেশ থাকবে রাজনৈতিক অচলাবস্থায়।”

  1. 📅 ডিসেম্বর ২০২২ – “আমরা ৫২৭১ ভুলিনি, হাসিনাকেও ভুলবো না

সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “যারা গণতন্ত্র কেড়ে নেয়, তারা শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।”

  1. 📅 জানুয়ারি ২০২৩ – “জামানতের ভয় দেখিয়ে জবাবদিহিতা চাপা যাবে না

এই সময় অনেক সাংবাদিক ও ব্লগারদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছিল। পিনাকী বলেন, “অপরাধ করলে বিচার চাই, কিন্তু সত্য বললে মামলা নয়। ভয়ের সংস্কৃতি ভাঙতে হবে।”

  1. 📅 মার্চ ২০২৩ – “আপন হাতেই বিপ্লবের আগুন জ্বালাও

২৬ মার্চ উপলক্ষে এই বার্তায় তিনি বলেন, “স্বাধীনতা কেউ উপহার দেয় না, সেটা ছিনিয়ে আনতে হয়। এইবার ঘরে বসে নয়—রাস্তায় নামলেই ইতিহাস পাল্টাবে।”

  1. 📅 মে ২০২৩ – “রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি এখন নিয়ম

তিনি প্রশাসন, সরকারি প্রকল্প এবং নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, “কোনো একটি প্রতিষ্ঠানেরও স্বাধীনতা নেই—সবাই দুর্নীতির চক্রে বাঁধা।”

  1. 📅 মে ২০২৩ – “স্বাধীনতা শুধু কবিতায় নয়, সংবিধানে আর বাস্তবতায় চাই

সরকারি ভাষণে ‘উন্নয়ন’ এবং ‘স্বাধীনতা’ শব্দের ব্যবহারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ভোটাধিকার ছাড়া, মতপ্রকাশের অধিকার ছাড়া—স্বাধীনতা একটি কাগজের কবিতা মাত্র।”

  1. 📅 জুলাই ২০২৩ – “দ্বিতীয় স্বাধীনতার পতাকা আজ পিনাকীর হাতে

সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর অনেকেই পিনাকীকে সমকালীন সময়ের ‘মুক্তির দূত’ বলে আখ্যা দেন। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রধান কণ্ঠস্বর হিসেবে তাঁকে দেখা হয়।

  1. 📅 নভেম্বর ২০২৩ – “জাগো বাংলাদেশ, সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে

নতুন নির্বাচন সামনে রেখে তিনি বলেন, “সময়ের ঘড়ি বাজছে। এখন না বললে আর কিছু বলার সুযোগ থাকবে না। এইবার জনগণকে বলতেই হবে—আমাদের স্বাধীনতা চাই, আমাদের ভোট চাই।”

  1. 📅 ডিসেম্বর ২০২৩ – “জেগে উঠো বাংলাদেশ, ইতিহাস তোমাকে ডাকছে

মুক্তিযুদ্ধের মাসে এই বার্তায় তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধের নাম নেয়, অথচ মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়, তারা ইতিহাসের প্রতারণাকারী। এই ইতিহাস রক্ষা করতে হলে আজই জেগে উঠতে হবে।”

  1. 📅 জানুয়ারি ২০২৪ – “ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনলেই স্বাধীনতা পূর্ণ হবে

নির্বাচনের বছর শুরুতে তিনি বলেন, “এইবারের নির্বাচন হবে গণতন্ত্র বনাম দখলদারিত্বের লড়াই। জনগণ ঠিক করবে তারা কতটুকু মুক্ত হতে চায়।”