ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের জীবননগর পাড়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে জাফর আলী (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, নিহত জাফর আলী ও অভিযুক্ত আব্বাস আলী সম্পর্কে খালাতো ভাই।
জীবননগর পাড়ার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর মাধ্যমে জানতে পারা যায় যে,মৃত ব্যক্তির নাম জাফর আলী। মূলত ঘটনা হচ্ছে অনেক আগের পারিবারিক ও জমি কেন্দ্রিক, বাদী হচ্ছে আব্বাস আলী তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই। উভয়ের জমির পাশে অনেকগুলো গাছ ছিল একটা গাছ নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়। জাফর আলী ছিল আওয়ামী লীগের কর্মী। ওই সময় ছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, জোর করে উক্ত গাছটি জফর আলী কেটে বিক্রি করে দেয়। দীর্ঘদিন জাফর আলী বাড়িতে না থাকায় বিষয়টি অমীমাংসিত থাকে। কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে জাফর আলী। পরবর্তীতে আব্বাস আলী তার নামে বিচার ডাকে। জাফর আলী বিচারে হাজির হয় বিচার শুরু হওয়ার পূর্বেই জাফর আলী ও আব্বাস আলীর মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। তারপর আব্বাস আলী তাকে কয়েকটা কিল ঘুষি মারে এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে জাফর আলী পড়ে যায়, পড়ে যাওয়ার পরপরই মারা যায়। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তাছাড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে জাফর আলীর শরীরে তেমন কোন দাগ ছিল না। অনাকাঙ্খিতভাবেই সে মারা যায়। জাফর আলী ও আব্বাস আলী খালাতো ভাই এটা তাদের পারিবারিক বিরোধ কিন্তু একটি পক্ষ এটাকে দলীয় পর্যায়ে নিয়ে যেয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছে। আল্লাহ সবাইকে সত্য জানার তৌফিক দান করুক। আমিন।
জামায়াতের নেতা কর্মীরা বলেন, নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও অভিযুক্ত আব্বাস আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি এবং জামায়াতে উপর যে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।