ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কোভিড ১৯ সংক্রমণ হারের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকল্কে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় স্বাধীনতার এক মহানায়ক, ডক্টর পিনাকী ভট্টাচার্য কুষ্টিয়ায় আবারও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, পুলিশের নীরবতায় আতঙ্কে এলাকাবাসী আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও ছবি নিরাপদ রাখতে এই ৬টি টিপস মেনে চলছেন? মহেশপুর সীমান্তে ১ ভারতীয় মানব পাচারকারী আটক, ২ নারী ও ১ শিশু উদ্ধার মহেশপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু বাস দুর্ঘটনায় মহেশপুরে আহত ৫ মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত বিএনপির সুযোগ, সম্ভাবনা ও নেতৃত্বের ব্যর্থতা সিলেট-চট্টগ্রামে কেএফসি-বাটা-পিৎজা হাটে হামলা ও লুটপাট: বিনিয়োগ সম্মেলনের মাঝেই উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি, বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশিরাও।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের দমন করার কঠোর নীতি ঘোষণা করেছেন। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যারা বসবাস করছেন, তাদেরই অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প পরদিন শতাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে, যা বাংলাদেশিসহ সকল অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ইস্যুতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্বে ২২টি অঙ্গরাজ্য ও ২টি শহর মামলা করেছে। তাদের দাবি, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া মার্কিন সংবিধানে প্রণীত অধিকার, যা ট্রাম্পের আদেশ লঙ্ঘন করছে। যদিও এই মামলার টিকে থাকার বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে, তবে এটি ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।

অভিযানের অংশ হিসেবে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাদা পোশাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সন্দেহভাজনদের থামিয়ে পরিচয়পত্র দেখতে চাইছেন, যা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও আতঙ্ক বাড়িয়েছে। ব্রুকলিন, যা বাংলাদেশিদের জন্য পরিচিত একটি কেন্দ্র, এখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারিতে রয়েছে। ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে এবং অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার কিছু প্রকল্প বন্ধ করেছে। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকার সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এসব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের চাকরি ও ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইনজীবী রাজু মহাজন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ বাংলাদেশিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। খাদিজা মুনতাহা অভিবাসীদের সতর্ক থাকতে এবং আইন প্রয়োগকারীদের সহযোগিতা করতে বলেছেন। এদিকে বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকায় মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে, এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

প্রভাতের পাতা ডেস্ক

প্রভাতের পাতা ডেস্ক

কোভিড ১৯ সংক্রমণ হারের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকল্কে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি, বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশিরাও।

আপডেট সময় ০৬:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের দমন করার কঠোর নীতি ঘোষণা করেছেন। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যারা বসবাস করছেন, তাদেরই অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প পরদিন শতাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে, যা বাংলাদেশিসহ সকল অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ইস্যুতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্বে ২২টি অঙ্গরাজ্য ও ২টি শহর মামলা করেছে। তাদের দাবি, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া মার্কিন সংবিধানে প্রণীত অধিকার, যা ট্রাম্পের আদেশ লঙ্ঘন করছে। যদিও এই মামলার টিকে থাকার বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে, তবে এটি ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।

অভিযানের অংশ হিসেবে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাদা পোশাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সন্দেহভাজনদের থামিয়ে পরিচয়পত্র দেখতে চাইছেন, যা বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও আতঙ্ক বাড়িয়েছে। ব্রুকলিন, যা বাংলাদেশিদের জন্য পরিচিত একটি কেন্দ্র, এখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারিতে রয়েছে। ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে এবং অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার কিছু প্রকল্প বন্ধ করেছে। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকার সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এসব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের চাকরি ও ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইনজীবী রাজু মহাজন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ বাংলাদেশিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। খাদিজা মুনতাহা অভিবাসীদের সতর্ক থাকতে এবং আইন প্রয়োগকারীদের সহযোগিতা করতে বলেছেন। এদিকে বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকায় মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে, এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রয়েছে।